একাদশী দেবীর আবির্ভাব এবং পবিত্রা একাদশী :


একাদশী দেবীর আবির্ভাব :-সত্য যুগে মুর
বা মরু নামে এক বিশাল দেহধারী দানব
ছিল।
তার পিতা ছিল তালজঙ্ঘ
মতান্তরে নাড়ীজঙ্ঘা।রাজধানী ছিল
চন্দ্রাবতী নগরে।এক বার তার
অত্যাচারে সমগ্র দেবতারা স্বর্গ
থেকে পালিয়ে যেতে বাধ্য হলেন
এবং দেবাদিদেব মহাদেবের
কাছে আশ্রয় নিলেন এবং মহাদেবের
পরামর্শেই দেবগণ শ্রীবিষ্ণুর শরণাপন্ন
হলেন।ভগবান বিষ্ণু সব শুনে দেবগণ
কে অভয় দিলেন।
এবং অত্যাচারী দানবকে সমুচিত
শাস্তি দিতে তিনি এগিয়ে গেলেন
চন্দ্রাবতী নগরীর দিকে।যুদ্ধ হল উভয়
পহ্ম,ভয়ানক যুদ্ধ।যে যুদ্ধে অসংখ্য দৈত্য
মারা গেল,কিন্তু মরল না মুর
সে আত্মগোপন করল।ভগবান বিষ্ণু প্রবল যুদ্ধ
করেছেন।স্বাভাবিক কারনেই
তিনি রণক্লান্ত।তাই কিছুহ্মণ বিশ্রামের
ইচ্ছায় তিনি গেলেন বদরিকাশ্রমের
দিকে।যাওয়ার পথে সিংহবতী,
(
অন্যমতে চন্দ্রাবতী বা হৈমবতীও হতে পারে)
নামে বিশাল গুহা দেখতে পেলেন।
সেটি ১২ যোজন এবং তার একটি মাত্র
দরজা।ভগবান সেখানেই ঢুকলেন।গুহায়
ভগবান বিশ্রামে মগ্ন।সুযোগ বুঝে দৈত্যমুর
ছুটে যায় তাকে বধ করতে। কিন্তু
ঘটে অঘটন সে দেখে সকল অলঙ্কার সকল
অস্ত্রশস্ত্রে ভূষিতা এক
দেবীমূর্তি তিনি নারায়ণের
দেহথেকেই বহির্গতা সেই দেবীই
দৈত্যকে বধ করেন।এদিকে ভগবান বিষ্ণু
বিশ্রাম ছেড়ে উঠে বসেই দেখেন তার
সামনে উপ্লপস্থিত দেবীকে।
বুঝতে পারেন তিনিই দৈত্যকে বধ
করেছেন।শ্রীভগবান অত্যন্ত প্রসন্ন হলেন
সেই দেবীর প্রতি।এ
বিষয়ে ভবিষ্যপুরাণের
একাদশী পর্বে আছে শ্রীভগবান বলছ--
তুমি একাদশী তিথিতে আবির্ভূতা তাই
তোমার নাম হোক একাদশী।
"
একাদশ্যাং সমুৎপন্না মম ভক্তিপরায়ণা।
অত একাদশীত্যেবং তব নাম ভবিষ্যতি।।
আরো বলেছেন "আর এই একাদশী ব্রত
যারা পালন করবেন,তাদের
প্রতি শ্রীভগবানের আশ্বাস
তিনি তাদের অন্তরের শত্র বা বাইরের
শত্রু উভয় রকম শত্রুকেই বিনাশ করবেন
এবং পরমাগতি তিনি দান করবেন।
একাদশী দেবীর আবির্ভাবের তিথি হল
অগ্রহায়ণ মাসের কৃহ্মপহ্ম।

No comments

Powered by Blogger.